শরীর থেকে ঘাম বের হওয়া ভালো কেন Why is it good to get sweat out of the body?

শরীর থেকে ঘাম বের হওয়া ভালো কেন Why is it good to get sweat out of the body?

 
আপনি কি জানেন মানুষের শরীর থেকে কেন ঘাম বেরিয়ে আসে আর কেন মানুষের শরীর থেকে ঘাম বেরিয়ে আসা টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওই ব্যক্তির জীবনে সুখে থাকার জন্য হযরত আলী (রাঃ) এই বিষয়ে চমৎকার একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন
 
 
 
শরীর থেকে ঘাম বের হওয়া ভালো কেন Why is it good to get sweat out of the body?



হযরত আলি (রাঃ) যে ব্যাখ্যা দিয়েছেনঃ

 

এক ব্যক্তি হযরত আলী (রাঃ) আনহুর কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন ইয়া আল্লাহ রব্বুল আলামীন আমাকে অনেক ধন সম্পদ দান করেছে যার ফলে আমি অনেক উন্নত খাবার-দাবার খেয়ে থাকি কিন্তু তারপরেও আমি এই বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচতে পারছি না এমনটি কেন হচ্ছে সেই ব্যক্তির কথা শোনার পর হযরত আলী (রাঃ) বললেন 
 
যখন আদম এবং তার বিবি হাওয়া জান্নাতি ছিল তখন না তো তাদের শরীরে ব্যথা ছিল আর নাতো কোন ঘামছিল আর না তারা কোন ক্লান্ত হতেন কিন্তু যখন মা হওয়া এবং বাবা আদম আল্লাহর নাফরমানি করেছিলেন তখন আল্লাহ তাআলা বিবি হাওয়া এবং আদমকে জান্নাত থেকে বের করে দিলেন  
 
আর সেইসাথে এটিও বলে দিয়েছিলেন যে একটি নির্ধারিত সময় পর্যন্ত সমস্ত আদম জাতিকে পরীক্ষা দিতে হবে এবং এর মাধ্যমে তারা নিজেদের প্রমাণ করবে তারা কি জান্নাতের হকদার জাহান্নামের হকদার সেই অনুযায়ী হিসেব করে তাদেরকে পাঠানো হবে তখন মা হওয়াকে বলা হলো যে
 
 
হাওয়া তুমি ব্যথা যন্ত্রণার মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেবে যাতে করে পরবর্তীতে সবাই বুঝতে পারে জীবনের আসল নাম হলো পরীক্ষা আর প্রত্যেক পরীক্ষার মূল অনেক সমস্যা সাজানো থাকে আর হজরত আদম (.) বললেন হে আদম তুমি নিজের ঘাম ঝরিয়ে খাবার খাবে পরিশ্রম করে উপার্জন করবে 
 
আর সেজন্য মানুষের শরীরের কিছু কিছু রোগ এমন থাকে যেগুলো আল্লাহর দয়ায় ঘাম ঝরে যাওয়ার মাধ্যমে ভালো হয়ে যায় তাই কোন ব্যক্তি যদি পরিশ্রম না করে ঘাম না ঝরায় তাহলে এমন কিছু রোগ তার শরীরে থেকে যাবে যা ঘাম না ঝরানো পর্যন্ত তার থেকে মুক্ত হতে পারবেনা সুবাহানাল্লাহ  
 
বর্তমান বিজ্ঞান বলছে যে সকল মানুষ ওয়ার্কআউট করে অনেক পরিশ্রম করে শ্রান্ত ক্লান্ত হয়ে যায় শরীর থেকে ঘাম বের হয় তাদের শরীরটা ডিটক্সিফাই হয়ে যায় শরীর থেকে জীবাণু বের হয়ে যায় তাই সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই ঘাম ঝরিয়ে পরিশ্রম করা দরকার
 
 

সুস্থতার জন্য হযরত আলী (রাঃ) গুরুত্বপূর্ণ উপদেশঃ

 
হযরত আলী (রাঃ) সুস্থতার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দিয়েছেন একদিন হযরত আলী (রাঃ) রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তিনি দেখতে পেলেন একজন ব্যক্তি উপুড় হয়ে শুয়ে আছে হযরত আলী (রাঃ) সেই ব্যক্তির কাছে গেলেন এবং নিজের হাত দিয়ে তার উপরে একটি চাদর ঢেকে দিলে

তখনই উঠে দাঁড়ালো এবং হযরত আলী (রাঃ) ঐ ব্যাক্তি কে বললেন আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ইসলামের কাছ থেকে শুনেছি যারা উলটো হয়ে ঘুমায় অর্থাৎ পেটের উপর ভর দিয়ে শোয়া মানুষ শারীরিক এবং রুহানি এই রোগের শিকার হয় অর্থাৎ তারা ব্যক্তিগত জীবনে হতাশ হয়ে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ তাদেরকে আক্রমণ করে

 

আর আল্লাহ তা’আলা এভাবে শুয়া পছন্দ করেন না তখন সে ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন এভাবে কেন নিষেধ করা হয়েছে যখন হযরত আলী (রাঃ) বলতে লাগলেন যে ব্যক্তি পেটের উপর ভর দিয়ে শুয়ে থাকে তখন মূলত শেষ হয়ে থাকে না তার ওপর শয়তান শূআর হয়ে তাকে এভাবে শুয়ে থাকে

কারণ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষের মস্তিষ্কের শক্তি দান করেছেন শক্তিগুলো নষ্ট হয়ে যায় সে কোন বিষয় মাথায় রাখতে পারে না যখন উপুড় হয়ে ঘুমায় কিন্তু যখন মানুষ এসমস্ত কথা মাথায় না রেখে দুনিয়াবী চিন্তায় মগ্ন থাকে এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নেয়ামত এবং থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়  

তখনই মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রোগ আক্রমণ করে থাকে এছাড়াও উল্টো ভাবে শুয়ে থাকলে মানুষের পেটে চাপ লাগে আর কারণে মানুষের শ্বাস প্রশ্বাস এবং হজমের সমস্যা সৃষ্টি হয় এমনকি হার্টের রোগ আক্রান্ত হওয়ার সমস্যা তৈরি হয়  

 

মনে রাখতে হবে যখন ঘুমাবেন ডান কাত হয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন কেননা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন উল্টো হয়ে শুয়া সয়তান এর অভ্যেস তার ডান কাত হয়ে শোয়া মুমিনের অভ্যেস

 

 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url